বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ০৫:২৬ অপরাহ্ন
মোঃ শিহাব উদ্দিন
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি।
গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা/সেকশন অফিসার পদে নিয়ম বহির্ভূত নিয়োগ দেয়ায় সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন সহ ৪জনের বিরুদ্ধে দুদক মামলা দায়ের করেছে।(মামলা নং-৮, তাং-২.০৩.২০২৫) ( মামলার বাদী বিজন কুমার রায়, সহকারী পরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা কার্যালয়, গোপালগঞ্জ।
মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন-প্রফেসর ড. মোশাররফ আলী, প্রফেসর ড. মো: আব্দুল মান্নান এবং সেকশন অফিসার শারমিন চৌধুরী।
দুদকের মামলার বিবরণে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০.০৯.২০১৮ তারিখের স্মারক নং-৭৬৩-তে প্রশাসনিক কর্মকর্তা/ সেকশন অফিসারের ১৬টি পদ সহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত ১৬টি শূন্য পদের স্থলে শারমিন চৌধুরী সহ ২০ জনকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা/ সেকশন অফিসার পদে নিয়োগ দেয়া হয়।
উক্ত পদে ৮৭০ জন আবেদকারীর ডাটা শীটে তৎকালীন ভিসি ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনের স্বাক্ষর রয়েছে।
উক্ত তালিকায় আসামী শারমিন চৌধুরী’র নাম নাই। তা’ছাড়া নিয়োগ কমিটির সুপারিশ তালিকার ৮৭৩ নম্বর ক্রমিকে শারমিন চৌধুরী-কে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হলেও বাস্তবে ৮৭৩ নম্বর ক্রমিক ডাটা শীটে নাই।
অর্থাৎ আবেদন তালিকায় না থাকার পরও জাল-জালিয়াতি করে শারমিন চৌধুরীকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।
এছাড়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্ত ছিল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখে প্রার্থীর বয়স ৩২ বছর হওয়ার কথা থাকলেও প্রকৃতপক্ষে আসামী শারমিন চৌধুরীর বয়স ৩২ বছরের বেশি ছিল।
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আসামী শারমিন চৌধুরীর বয়স ৩২ বছরের স্থলে ৩৩ বছর ৩ মাস থাকার পরও বে-আইনিভাবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত ১৬টি শূন্য পদের স্থলে ২০ জনকে নিয়োগ ও ডাটা শীটে নাম না থাকার পরও নিয়োগ দিয়ে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করা হয়েছে।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।